ফ্লিন্টঅফ কে আমি অতিমানব বলি! Andrew Flintoff

এন্ড্রু ফ্লিন্টঅফ অতিমানব এর রূপ যারা ২০০০ সাল থেকে খেলা দেখেন তারা নিশ্চয়ই এই অতিমানবকে চিনেন? যেমন ছিলো তার শরীরের গঠন তেমন ক্রিকেটে মেধা! এই মেধার জন্ম হয়েছে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭৭ (বয়স পোষ্ট লেখার সময় ৪০) প্রেস্টন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড। উচ্চতায় তিনি ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। টেস্ট অভিষেক....... ২৩ জুলাই ১৯৯৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ওডিআই অভিষেক....... ৭ এপ্রিল ১৯৯৯ বনাম পাকিস্তান ওর ডাক নাম "ফ্রেদি"।
যারা সৌরভ এর সেই Lordse টি শার্ট খুলে উদযাপন টা দেখেছিলেন তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই সেটা ছিলো এন্ড্রু ফ্লিন্টঅফ এর প্রতি বদলা! জার্সি খুলে উদযাপনের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
2002 সালে ভারতের সাথে ওডিঅাই সিরিজ ড্র করার পর উদযাপনে মেতে ছিলেন এন্ড্রু ফ্লিন্টঅফ। 2002 সালের সেই ৬ষ্ঠ ম্যাচে ৯.৫ ওভার করে মাত্র ৩.৮৬ গড়ে উইকেট নিয়েছেন তিনটি। অনিল কুম্ভলে কে করে ছিলো রান আউট ও করেছিলো। সেই ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন Marcus Trescothick , ৮০ বলে ৯ চার আর ১ ছয়ে করেছিলো ৯৫ রান। স্ট্রাইকরেইট ও ছিলো ১১৮.+। সেই সময় এই স্ট্রাইকরেইটের কারনে তখন ফ্লিন্টঅফ কে টপকে তিনি সেরা হয়ে গিয়েছিলেন। ইতিহাসের সেরা টেস্ট হিসেবে খ্যাত ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সেই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ২০০৫ এ এজবাস্টন টেস্টে ফ্লিন্টঅফ এর সেই এক ওভার ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। রিকি পন্টিংকে যেভাবে নাস্তানাবুদকরে উইকেট তুলে নিয়েছিলো! তা অতুলনীয় ! সেই এক ওভার দেখতে এখানে ক্লিক করুন ২০০৫ এসেজ সিরিজে ফ্লিন্টঅফ যৌথভাবে Shane warne এর সাথে হয়েছিলো সিরিজসেরা। মোট রান করেছিলো ৪০২! আর উইকেট নিয়েছিলো ২৪ টি! উইকেটের দিক দিয়ে হয়েছিলো ২য়! আর ব্যাটিং এ হয়েছিলো ৩য়! কিন্তু অতিমানবীয় এর সাথে দানবীয় এক সিরিজ পার করেছিলো শেন, নিয়েছিলেন ৪০ টি উইকেট! এসেজের সেই ম্যাচের শেষ অংশটুকু দেখতে এখানে ক্লিক করুন সেই এসেজ ইংল্যান্ড জিতে নেয় ২-১ ব্যাবধানে। ক্যারিয়ারঃঃ ...... ম্যাচ সংখ্যা....... TesT.. ৭৯ ODi...১৪১ রানের সংখ্যা...... TesT...৩,৮৪৫ ODi...৩,৩৯৪ ব্যাটিং গড়........ TesT....৩১.৭৭ ODi...৩২.০১ উইকেট.......... TesT...২২৬ ODi....১৬৮ সর্বোচ্চ রান....... Test...১৬৭ Odi..১২৩
২০০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজের পর ১৫ জুলাই, ২০০৯ তারিখে টেস্ট ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। ২৪ আগস্ট তারিখে একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিলেও ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করতে হয়। ফলে, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখে সকল স্তরের ক্রিকেটে থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হন।
এই অতিমানব আবার ফিরে আসেন, এবার ক্রিকেটে নয় বক্সিং এ, ৩০ নভেম্বর ২০১২ সালে তিনি রিচার্ড ডাওসন কে ম্যানচেস্টারে হারিয়ে দেন বক্সিং খেলায়। রিপোর্টটি দেখে আসুন ঃরিপোর্ট টি খুলুন
https://www.bbc.co.uk/news/entertainment-arts-40364531 এখন তিনি অভিনয় করছেন। এখানে ক্লিক করুন তার অভিনয় সম্পর্কে জানতে

Comments

Popular posts from this blog

গ্রাফিতি! গ্রাফিতি কি? গ্রাফিতির ইতিহাস কি?

জন্মদিন উৎসব কিভাবে এলো?

বীর পুরুষ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর