
নারী নারী একটা শব্দ। নারী একটা নাম। এই নামেতেই একজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে তার শক্তি, তার মেধা, তার বুদ্ধি, তার কর্মক্ষমতা। এই সমাজে যখন নারী জন্মায় তখনই তার জন্য প্রাপ্য অর্ধেক ডিম, সবার শেষে ভাত খাওয়া। যখন বিকেলবেল খেলাধুলা করবে তখনও তার জন্য প্রাপ্য থাকে অর্ধেক বিকেল। এই নারী শব্দের সাথে জড়িয়ে আছে বলে তাকে বসতে হচ্ছে পাবলিকের বাসের নির্দিষ্ট এক স্থানে। তা না হলে সে নিরাপদ নয়, তা নাহলে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হবে। এই নারী শব্দটার সাথে জড়িয়ে আছে বলে তাকে থাকতে হয় বিভিন্ন সতর্কতায়। একজন নারী ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরের বাহিরে থাকলে তাকে এক বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হয়। হাজারো গোলাবারুদ চোখে নিয়ে তাকিয়ে থাকে মানুষ নামের কিছু টর্পেডো। এক টর্পেডো দিয়ে প্রতিপক্ষের পুরো এলাকা ধ্বংস করে দেওয়ার মতো সেই চোখের যোগ্যতা। হাজারো চোখকে পাশ কাটিয়ে তারা জীবিত আছে। তাপ্পর চোখ বেয়ে মুখ। মুখের কুৎসিত শব্দে যে গ্রেনেড বিস্ফরিত হয় তাহাদের আশেপাশে সেই বিস্ফোরণেও চুপ থাকতেই তাদের নাম নারী। এতসব বিস্ফোরণের শব্দ পাশ কাটিয়ে তারা জীবিত আছে...