Posts

Image
 নারী নারী একটা শব্দ। নারী একটা নাম। এই নামেতেই একজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে তার শক্তি, তার মেধা, তার বুদ্ধি, তার কর্মক্ষমতা। এই সমাজে যখন নারী জন্মায় তখনই তার জন্য প্রাপ্য অর্ধেক ডিম, সবার শেষে ভাত খাওয়া। যখন বিকেলবেল খেলাধুলা করবে তখনও তার জন্য প্রাপ্য থাকে অর্ধেক বিকেল। এই নারী শব্দের সাথে জড়িয়ে আছে  বলে তাকে বসতে হচ্ছে পাবলিকের বাসের নির্দিষ্ট এক স্থানে। তা না হলে সে নিরাপদ নয়, তা নাহলে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হবে। এই নারী শব্দটার সাথে জড়িয়ে আছে বলে তাকে থাকতে হয় বিভিন্ন সতর্কতায়। একজন নারী ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরের বাহিরে থাকলে তাকে এক বিশ্বযুদ্ধে  অংশগ্রহণ করতে হয়। হাজারো গোলাবারুদ চোখে নিয়ে তাকিয়ে থাকে মানুষ নামের কিছু টর্পেডো। এক টর্পেডো দিয়ে প্রতিপক্ষের পুরো এলাকা ধ্বংস করে দেওয়ার মতো সেই চোখের যোগ্যতা। হাজারো চোখকে পাশ কাটিয়ে তারা জীবিত আছে। তাপ্পর চোখ বেয়ে মুখ। মুখের কুৎসিত শব্দে যে গ্রেনেড বিস্ফরিত হয় তাহাদের আশেপাশে সেই বিস্ফোরণেও চুপ থাকতেই তাদের নাম নারী। এতসব বিস্ফোরণের শব্দ পাশ কাটিয়ে  তারা জীবিত আছে...

বীর পুরুষ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Image
   বীরপুরুষ - রবীন্দ্রনা থঠাকুর    মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে। তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ’ড়ে দরজা দুটো একটুকু ফাঁক ক’রে, আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ‘পরে টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে। রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে রাঙা ধূলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে। সন্ধ্যে হল, সূর্য নামে পাটে, এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে। ধূ ধূ করে যে দিক-পানে চাই, কোনোখানে জনমানব নাই, তুমি যেন আপন-মনে তাই ভয় পেয়েছ-ভাবছ, ‘এলেম কোথা।’ আমি বলছি, ‘ভয় কোরো না মা গো, ওই দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা।’ আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে- অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো। তুমি যেন বললে আমায় ডেকে, ‘দিঘির ধারে ওই-যে কিসের আলো!’ এমন সময় ‘হাঁরে রে রে রে রে’ ওই – যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে! তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে ঠাকুর-দেবতা স্মরণ করছ মনে, বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে, ‘আমি আছি, ভয় কেন, মা, করো!’ তুমি বললে, ‘যাস নে খোকা ওরে,’ আমি বলি, ‘দেখো-নাচুপ করে।’ ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে, কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা। কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে, কত ল...

১৫ অক্টোবর জন্মদিন যাঁদের

Image
১৫ অক্টোবর  বিখ্যাত ব্যাক্তিদের জন্মদিন যাদের- ১.পুরো নাম পাবলিয়াস ভারজিলিয়াস মারো (Publius Vergilius Maro)। তবে তিনি পরিচিত ভার্জিল বা ভেরগিল নামে। জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৭০-এর ১৫ অক্টোবর। অগাস্টান যুগের প্রাচীন রোমান কবি তিনি। লাতিন সাহিত্যে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ইকলোগুস’, ‘জিওরজিকস’ ও ‘ঈনিড’। রোমের অন্যতম সেরা কবি হিসেবে বিবেচনা করা হয় ভিরগিলকে। তাঁর রচিত মহাকাব্য ‘ঈনিড’কে প্রাচীন রোমের জাতীয় মহাকাব্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভার্জিলের কাজ দ্বারা পশ্চিমা সাহিত্য নানাভাবে প্রভাবিত হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ দান্তের ‘ডিভাইন কমেডি’র কথা বলা যায়। ২.সম্রাট  আকবর : ১৫৪২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই অক্টোবর অমরকোটে জন্মগ্রহণ করেন। আকবরকে অনেক ঐতিহাসিক মুঘল সম্রাটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মনে করেন ও তাকে ‘আকবর দ্য গ্রেট’ বলে আখ্যায়িত করেন। ১৬শ শতকের মাঝামাঝি কোনও এক সময়ে মোঘল সম্রাট আকবর বাংলা ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন। তাঁর ৪৯ বছরের শাসনকালে ধর্ম, সংস্কৃতি, দর্শন, সাহিত্যের পাশাপাশি এরকম নানা জিনিসে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন সম্রাট আকবর। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রতি গভ...

গ্রাফিতি! গ্রাফিতি কি? গ্রাফিতির ইতিহাস কি?

Image
গ্রাফিতি" ইটালিয়ান শব্দ "Grafitiato" থেকে আসে, যার অর্থ "খচিত"। গ্রাফিতি শব্দটি শিলালিপি, চিত্র অঙ্কন এবং এই ধরনের শিল্পব বুজায়। প্রাচীন সমাধি বা ধ্বংসাবশেষের দেয়ালের মধ্যে এইগুলেকে পাওয়া যায়। গ্রাফিতি হচ্ছে দেয়ালে বা যেকোনো সারফেসে র‍্যান্ডমলি আঁকা কোন চিত্র। সিম্পল কন্টেন্ট থাকবে, সিম্পল আঁকা থাকবে, কিন্তু পেছনের বোধটা থাকবে খুব গভীর। সহজ ভাষায় এটাই গ্রাফিতি। গ্রাফিতি অনেক,অনেক সময় ধরে হয়ে আসছে । প্রকৃতপক্ষে, সম্ভবত এটি গুহার দেয়ালের প্রথম অঙ্কন করা হয়েছিলো পশুর হাড় দিয়ে খোদাই করে। পশুর হাড় দিয়েই প্রথম গ্রাফিতি আঁকা শুরু হয় বলে ভাবা হয়। তখন থেকে পরিবর্তন হয়ে আস্তে আস্তে মানুষের বাড়ির অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানের  দেয়ালে দেয়ালে, যেখানে মানুষের নজরে আসে এমন জায়গায় গ্রাফিতি  আঁকা শুরু হয়। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানদের সময়কাল থেকে মূলত এই গ্রাফিতির প্রচলন ভালো করে শুরু হয়। গ্রাফিতির নিদর্শন এখনো আছে প্রাচীন গ্রিক শহর এফিসাস বা বর্তমান তুরস্কে। মূলত তারা এইগুলিকে ভালোর চোখে দেখতো না।সেখানকার  মানুষদের মতে এগুলো পতিতালয়ের বিজ্ঞাপন জাত...

জন্মদিন উৎসব কিভাবে এলো?

Image
জন্মদিন হচ্ছে পঞ্জিকা অনুযায়ী মানুষের জন্মগ্রহণের দিবস। (জন্মদিন আর জন্মতারিখ কিন্তু এক নয়। জন্মদিন হবে সেটিই যে তারিখটি প্রতিবছর ফিরে আসে ) জন্মের দিনই জন্মদিন আর সেটা ফিরে আসে বছরে একবার। আবার যাদের লিপইয়ারে মানে ২৯ ফেব্রুয়ারি যাদের জন্ম তাদের কিছুবছর পর পর আসে। জন্মদিনের ইতিহাস : খ্রিস্টপূর্ব ৩,০০০ বছর পূর্বে প্রাচীন মিশরে ফ্যারওরা যখন সিংহাসন আহরণ করেন তখন থেকেই মূলত জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসতেছে। লিখিতভাবে এই জন্মদিনের কথা জানা যায় বাইবেলের জেনেসিস অধ্যায় থেকে। "তৃতীয় দিনটি ছিল ফারাউনের জন্মদিন। ফেরাউন তার সব কর্মকর্তাদের জন্য ভোজের আয়োজন করেন। ফেরাউন তার মদ-পরিবেশক ও রুটি প্রস্তুতকারককে ক্ষমা করে দিলেন”। [ওল্ড টেস্টামেন্ট, জেনেসিসঃ ৪০-২০]" গ্রীকরাও অনুপ্রাণিত হয়েছিলো আর মিশরীয় এই প্রথা কে তাদের দেবদেবীদের স্মরনে এই প্রথা ব্যাবহার করতে থাকে। গ্রীকরা চন্দ্রের দেবী আরতেমিস(Artemis)-কে সম্মানস্বরূপ চন্দ্রাকৃতির কেক দিয়ে পূজা করতো। চন্দ্রদেবী আর্টেমিসের জন্মদিনের কেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে কেকটিকে উজ্জ্বল করার বুদ্ধিও গ্রীকদের মাথা থেকেই এসেছিল। ম...

ফ্লিন্টঅফ কে আমি অতিমানব বলি! Andrew Flintoff

Image
এন্ড্রু ফ্লিন্টঅফ অতিমানব এর রূপ যারা ২০০০ সাল থেকে খেলা দেখেন তারা নিশ্চয়ই এই অতিমানবকে চিনেন? যেমন ছিলো তার শরীরের গঠন তেমন ক্রিকেটে মেধা! এই মেধার জন্ম হয়েছে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭৭ (বয়স পোষ্ট লেখার সময় ৪০) প্রেস্টন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড। উচ্চতায় তিনি ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। টেস্ট অভিষেক....... ২৩ জুলাই ১৯৯৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ওডিআই অভিষেক....... ৭ এপ্রিল ১৯৯৯ বনাম পাকিস্তান ওর ডাক নাম "ফ্রেদি"। যারা সৌরভ এর সেই Lordse টি শার্ট খুলে উদযাপন টা দেখেছিলেন তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই সেটা ছিলো এন্ড্রু ফ্লিন্টঅফ এর প্রতি বদলা! জার্সি খুলে উদযাপনের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন 2002 সালে ভারতের সাথে ওডিঅাই সিরিজ ড্র করার পর উদযাপনে মেতে ছিলেন এন্ড্রু ফ্লিন্টঅফ। 2002 সালের সেই ৬ষ্ঠ ম্যাচে ৯.৫ ওভার করে মাত্র ৩.৮৬ গড়ে উইকেট নিয়েছেন তিনটি। অনিল কুম্ভলে কে করে ছিলো রান আউট ও করেছিলো। সেই ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন Marcus Trescothick , ৮০ বলে ৯ চার আর ১ ছয়ে করেছিলো ৯৫ রান। স্ট্রাইকরেইট ও ছিলো ১১৮.+। সেই সময় এই স্ট্রাইকরেইটের কারনে তখন ফ্লিন্টঅফ কে টপকে তিনি সেরা হ...

রথযাত্রা ইতিহাস

Image
রথ যাত্রা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত, আজ রথ যাত্রার কাহিনী এবং কখন পালিত হয় তা জানাব। কৃষ্ণ তাঁর ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যন্মুর সম্মুখে আবিভূর্ত হয়ে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাষ্ঠখণ্ড দিয়ে তাঁর মূর্তি নির্মাণের আদেশ দেন। মূর্তিনির্মাণের জন্য রাজা একজন উপযুক্ত কাষ্ঠশিল্পীর সন্ধান করতে থাকেন। তখন এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন এবং মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন। সেই কাষ্ঠশিল্পী রাজাকে জানিয়ে দেন মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেন। বন্ধ দরজার আড়ালে শুরু হয় কাজ। রাজা ও রানি সহ সকলেই নির্মাণকাজের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রতিদিন তাঁরা বন্ধ দরজার কাছে যেতেন এবং শুনতে পেতেন ভিতর থেকে খোদাইয়ের আওয়াজ ভেসে আসছে। ৬-৭ দিন বাদে যখন রাজা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন এমন সময় আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। অত্যুৎসাহী রানি কৌতুহল সংবরণ করতে না পেরে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। দেখেন মূর্তি তখনও অর্ধসমাপ্ত এবং কাষ্ঠশিল্পী অন্তর্ধিত। এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন দেবশিল্পী দিশ্বকর্মা। মূর্তির হস্তপদ নির্মিত হয...